Freelancing কি?
Freelancing শব্দটি অনেক পরিচিত আমাদের সকলের কাছে। ফ্রিল্যান্সিং মানে কারো অধিনে নিযুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এক বা একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করাকে বোঝায়।
এছাড়াও একজন ফ্রিল্যান্সার একক নিয়োগকর্তার কাছে প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করে ও কাজ করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সাররা নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে অনলাইনে সেবা প্রদান করে থাকে এবং তার বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহন করে। সাধারনত ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা $ ডলারে প্রদান করা হয়।
বর্তমানে Freelancing এর টাকা উঠানো অনেক সহজ, কারন বিভিন্ন ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের খুব সহজেই ইন্টারন্যাশনাল কার্ড করার সুযোগ করে দিয়েছে। তাইতো দিন-দিন এই Freelancing সেক্টরে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে।
বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় নাম Upwork, Fiverr, 99designs এবং Freelancer.com। আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ইউনিয়নের একটি 2019 সালের সমীক্ষায় দেখা যায় যে, 57 million Americans freelanced the 2019 year । এই তথ্য দেখে বুঝা যায় যে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর চাহিদা দিন-দিন কত বেড়ে চলেছে।
আমরা যদি এক যুগ পেছনে ২০১০ এর কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে যে, ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে আমাদের ধারনা বা মতামত খুবই নিম্ন ছিল। কারন যারা ফ্রিল্যান্সিং করত তাদেরকে অনেক অবহেলা বা অবমাননা করা হত।
কিন্তু এখন ২০২৪ ধারনার অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন অনেকেই এই পেশায় নিজ ইচ্ছায় যোগদান করছে এমনকি অনেকে চাকুরির পাশাপাশি বা চাকুরির পরিবর্তে এই পেশায় কাজ করছে।
নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন
Freelancing শুরু করার পূর্বে আমাদের কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরি। ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা যেকেউ চাইলে যেকোন সময় এটা শুরু করতে পারে।
যারা ফ্রিল্যান্সিং এ No Experience এটা তারাও শুরু করতে পারে, কারন এটা শুরু করার জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা দরকার নেই। তবে আপনি যদি এই সেক্টরে ভাল করতে চান তবে অনেক পরিশ্রম করতে হবে তাহলেই সফলতা আসবে অন্যথায় সফলতা পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
ফ্রিল্যান্সিং আপনার ধারণার চেয়ে অনেক বেশি সহজ আর বুঝতে না পারলে অনেক বেশি জটিল।
Read this article: ব্লগিং করে ইনকাম- কিভাবে ২০২৪ সালে ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করব
কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, যে একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ হলেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারবে এবং টাকা উপার্জন শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু, এটা সত্য নয়।
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান এবং আর্থিক স্বাধীনতার কাজে মনোনিবেশ করতে চান তাহলে আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং একদিনে শিখা যায় না, এইজন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য ধারন করা এবং এর উপরে পড়াশোনা করা।
আপনি যদি মনে করেন যে, আমি আজ থেকে কাজ শুরু করব এবং আজকেই ইনকাম শুরু হয়ে যাবে তাহলে ভুল মনে করছেন। এমন অনেকে আছে যে, প্রথমে অনেক আশা নিয়ে কাজ শুরু করে এবং কিছুদিন যেতে না যেতেই হতাশ হয়ে কাজ ছেড়ে চলে যায়। কারন একটাই তারা কিছু না বুঝে এবং না শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিল।
একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার ১০ টি সহজ টিপস
১। প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
২। ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয় নির্বাচন করুন
৩। কাজের জন্য সঠিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করুন
৪। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করা
৫। ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওপর কোর্স ও দক্ষতা বৃদ্ধি করুন
৬। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী পোর্টফোলিও তৈরি করুন
৭| ধৈর্যের সাথে কাজ বিড করুন
৮। ক্লায়েন্টদের খুশি করতে সঠিক সময়ে কাজ জমা দিন
৯। ইংরেজি কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করুন
১০। টাকা উঠানোর জন্য নিজের নামে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলুন
এখন, আমরা উপরের বিষয়গুলো আরো বিস্তারিতভাবে জানবো। আপনি যদি একজন আদর্শ ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আমাদের প্রতিটা ধাপ খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
১। প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
সব কাজের পূর্বে একটি লক্ষ্য নির্ধারন করতে হয়, গন্তব্য বা লক্ষ্য ছাড়া কোন কাজ শুরু করলে সেটা বেশি স্থায়ী হয় না। আপনি যদি কোন গন্তব্য না জেনে গাড়িতে উঠে বসেন তাহলে আপনি আপনার সঠিক গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন না। তাইতো ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে আপনার উচিত একটা লক্ষ্য নির্ধারন করা।
আপনি কেন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করছেন এবং এটাকে কি আপনি আপনার ভবিষ্যতের ইনকামসোর্স হিসেবে তৈরি করতে চান, এসকল প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করুন। আপনি এখানে কত সময় ব্যয় করতে পারবেন যদি ফুল-টাইম হয় তাহলো অনেক ভাল, অন্যথায় চাকুরির পাশাপাশিও করা সম্ভব।
২। ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয় বা দক্ষতা নির্বাচন করুন
দক্ষতা নির্বাচন ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে বড় একটি বিষয়। কারন আপনার প্রথমেই বুঝতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে সবথেকে বেশি পারদর্শী এবং বর্তমান সময়ে কোন বিষয়ের চাহিদা সবথেকে বেশি। কারন আপনি যদি ভুল বিষয় নির্বাচন করেন তবে পরবর্তিতে দেখা যাবে যে, পরিশ্রম অনুযায়ী আপনার সফলতা আপনাকে ধরা দিচ্ছে না।
- ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এবং কাস্টমাইজেশন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- এসইও
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- মোবাইল ডেভেলপমেন্ট
- ভার্চুয়াল সহকারী
- কন্টেন্ট রাইটার
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ক্লাউড কম্পিউটিং
- ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস
- ডেটা এ্যানালিটিক্স
- ট্রান্সক্রিপশন
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় Upwork। এক গবেষনায় দেখা যায় যে, আপওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে বছরের পর বছর সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পাওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে ওয়েব প্রোগ্রামিং (43%), ওয়েব ডিজাইন (31%), এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (25%)।
অবশেষে, আপনার বিষয়টা নির্বাচন করেই কিন্তু শেষ না এরপর শুরু হবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট। কারন বর্তমানে টেকনোলজির উন্নয়ন ও পরিবর্তন অনেক দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তাই আপনাকেও তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। কিন্তু মনে রাখবেন কোন বিষয় ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্ধারন করা ঠিক নয়।
৩। সঠিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করুন
ফ্রিল্যান্সিং বিষয় নির্বাচন হয়ে গেলে এখন আপনার দরকার একটা কম্পিউটার। প্রথম দিকে কম্পিউটার ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পারফরমেন্স বা অনেক দামি ডিভাইস না কেনা ভাল।
তবে যদি আপনার ভাল কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য থাকে তাহলে কিনতে পারেন।
অনেকেই মনে করেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করতে অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার দরকার। কিন্তু আমার উত্তর হবে একেবারেই না। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের এর মত কাজ করতে চান তবে নূন্যতম ক্ষমতার কম্পিউটার হলেই হবে যেমন- 8GB RAM, 500GB Hard Disk, Processor Core i3, Dedicated Graphics 1GB ইত্যাদি হলেই যথেষ্ঠ।
তবে, অনেকেই প্রশ্ন করে যে কম্পিউটার নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনটা বেশি ভাল হয় ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ?
আমার নিজস্ব মতামত, ল্যাপটপ নেওয়া সবথেকে ভাল কারন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন সময় হয় না তাই যেকোন সময় কাজ করতে হতে পারে। এজন্য ল্যাপটপ হলে আপনি এটাকে এক জায়গা থেকে অন্য যায়গা সরাতে পারবেন এবং সবথেকে বড় যে সুবিধা সেটা হল ব্যাটারি ব্যাকআপ।
কারন বিদ্যুৎ চলে গেলেও আপনি কাজ করতে পারবেন এবং সঠিক সময়ে কাজ জমা দিতে পারবেন।
আমি প্রায়ই ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে একটি কমন প্রশ্ন পাই যে তারা শুধু একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করে কাজ করতে পারবে কিনা? আমার মতে, মোবাইল থেকে আউটসোর্সিং করা যায় কিন্তু সেটার অনেক সীমাবদ্ধতা আছে।
কিন্তু সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এবং দুর্দান্ত ফলাফল প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার চালানোর জন্য আপনার একটি কম্পিউটার অবশ্যই প্রয়োজন।
সুতরাং, আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং অনলাইনে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য নিজের একটি ল্যাপটপ থাকা জরুরি বা একটি পুরানো কম্পিউটার হলেও হবে।
৪। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বর্তমানে দিন-দিন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। But, জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু ওয়েবসাইটের লিংকসহ নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
- Upwork Inc
- Fiverr
- PeoplePerHour
- Guru
- Freelancer
- 99designs
- FlexJobs
- Behance
- Simply Hired
- Dribbble
- Truelancer
- WriterAccess
কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি, তাহলে এক কথায় উত্তর হলো: Upwork. এটা বিশ্বের সবথেকে বড় এবং জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট। ২০২০ এর এক জরিপে দেখা যায় যে, আপওয়ার্ক এ 12 million registered freelancers on Upwork। এবং প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ক্লায়েন্ট রয়েছে যারা $5000 ডলার এর উপর প্রতি বছরে আউটসোর্স করে থাকে।
তবে ফ্রিল্যান্সিং সাইট নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আমার মতামত, যারা প্রথম ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য যেকোন একটি মার্কেটপ্লেস এ কাজ করাটা ভাল। কারন তাহলে আপনার কাজের দক্ষতা বা ফোকাস সম্পূর্ন একদিকে দিয়ে কাজ করতে পারবেন।
৫। ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওপর কোর্স ও দক্ষতা বৃদ্ধি করুন
ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করাটা এবং এই প্রতিদ্বন্দিতার মার্কেটে টিকে থাকাটা অনেক বেশি চ্যালেন্জিং। কারন বর্তমান প্রযুক্তি অনেক দ্রুত ছুটছে তাইতো আপনাকেও বিভিন্ন কোর্স করে বা ইউটিউব ভিডিও দেখে দেখে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
একটা কথা মনে রাখবেন, সেখার কোন শেষ নেই। আপনি যদি কাজের মধ্যে কোন নতুনত্ব দিতে না পারেন তাহলে কোন ক্লায়েন্টই আপনার সাথে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করবে না। সেজন্যই আপনি যদি একজন ভাল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনাকে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। শেখার কোন শেষ নেই।
অনেকেই আমাকে বলে যে ভাইয়া, আমি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই কিন্তু ভাল কোন ভিডিও বা কন্টেন্ট পাচ্ছি না। এটা আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হয় এই ২০২৪ সালে।
কারন প্রযুক্তি এখন অনেক এগিয়ে, যেখানে আপনি গুগল বা ইউটিউবে একটি সার্চ করলেই চলে আসে লক্ষ-লক্ষ কোটি কোটি তথ্য, সেখানে এমন কথা কি সাজে আপনিই বলুন।
এখন ২০২৪ সাল কেউ আপনাকে হাতে ধরে ফ্রিল্যান্সিং শিখাবে না আপনার নিজেকে শিখে নিতে হবে। নিচে কিছু টেকনিক্যাল ইউটিউব চ্যানেল এর লিংকসহ নাম দেওয়া হলঃ
এছাড়াও হাজারো চ্যানেল আছে যেটা আপনাকে খুজে নিতে হবে। কারন আপনার চাহিদা বা ক্ষুদার কথা একমাত্র আপনিই জানেন।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি সেটা আপনাকে ভালভাবে জানতে হবে।
অনেকে মনে করেন যে আমিতো ইংরেজি পারিনা আমি কি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব? আমার উত্তর হবে অবশ্যই করতে পারবেন, হাই-হ্যালো আমরা সকলেই করতে পারি। বাকিটা কাজ করতে করতে শিখবেন।
আমি একটা কাজ অনেক বেশি করতাম সেটা হল – ইউটিউব এ ইংরেজি টিউটরিয়াল দেখা। আপনিও চাইলে দেখতে পারেন তাহলে স্কিল ডেভেলপ হবে।
এটাতো সত্য যে, আমাদের থেকে আমেরিকা বা ইউরোপ এর দেশগুলো অনেক বেশি এগিয়ে। সেজন্য তাদের ভিডিও দেখলে যেমন আপনি নতুন কাজ শিখতে পারবেন সাথে সাথে আপনার ইংরেজি শেখাটাও হবে।
৬। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী পোর্টফোলিও তৈরি করুন
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সাথে সাথেই আপনার দক্ষতা যাই থাকুক সেটার উপর একটা সুন্দুর পোর্টফোলিও দার করাতে হবে। পোর্টফোলিও মানে আপনার কাজের কিছু স্যাম্পল যেটা দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিবে। তবে, অবশ্যই মনে রাখবেন “’আগে দর্শনধারী তো পরে গুনবিচারী’ বহুল প্রচলিত একটি বাংলা প্রবাদবাক্য।
আপনার পোর্টফোলিও এর উপর ৬৫% নির্ভর করে যে আপনি কাজ করার যোগ্য কিনা।
কারন একজন অচেনা ব্যক্তি আপনাকে কিসের ভিত্তিতে কাজ দিবে। সেজন্য আমার মতামত আপনার পোর্টফোলিও সাজানোর পূর্বে পারলে বড় বড় ফ্রিল্যান্সারদের প্রফাইল ভিজিট করে আসুন। তাহলে আপনার কিছুটা হলেও ধারনা আসবে।
এছাড়াও আপনার পোর্টফোলিও ফেসবুক বা গুগল এর একটা ফ্রি ব্লগে পোস্ট করে রাখতে পারেন। তাহলে যেকোন সময় ছবি আপলোড এর ঝামেলা না করে শুধু লিংকটা শেয়ার করে দিলেই হবে।
৭| ধৈর্যের সাথে কাজ বিড করুন
আপনার পোর্টফোলিও তৈরি হয়ে গেলে এখন আমাদের কাজ writing a winning bid। বিড করা মানে কোন কাজের উপর প্রস্তাব বা ওফার দেওয়াকে বুঝায়। কারন একটা কাজের উপর হাজারো ফ্রিল্যান্সার বিড করতে পারে কিন্তু বায়ার এক্সেপ্ট করবে মাত্র একজনকে।
তাহলে বুজতেই পারছেন যে, আপনাকে এমন কিছু বলতে হবে বা সাবমিট করতে হবে যাতে বায়ার সন্তুষ্ট হয় এবং কাজটা আপনাকে দেয়।
তবে, বায়াররা সাধারনত আমেরিকান বা ইউরোপের বেশি হয়ে থাকে। তাই তাদের কাজের ক্ষেত্রে বেশি তেল মারা যাবে না বা কাজটা আমাকে দেন এমন কথাও বলা যাবে না। এমন কথা বললে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকংশেই কমে যায়। আপনি আপনার কাজ ও মূল্য সাবমিট করবেন, আপনার কাজ ভাল হলে কাজ এমনিতেই পাবেন।
৮। ক্লায়েন্টদের খুশি করতে সঠিক সময়ে কাজ জমা দিন
কাজটা পেলেই শেষ না, কাজটা পাওয়ার পর আপনার দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে। কারন, আপনি কাজটা পাওয়ার পর সঠিক সময়ে কাজ জমা দিতে হবে। সঠিক সময়ে কাজ জমা দিতে না পারলে বায়ার আপনাকে পরবর্তিতে আর কোন কাজ দিবে না। এজন্য খুবই সতর্ক থাকতে হবে।
৯। ইংরেজি কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করুন
ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলার জন্য আপনার বেসিক ইংলিশ জানা দরকার। এজন্য আপনাকে কিছু বেসিক ইংরেজি জানতে হবে। সাধারনত বায়ার যখন আপনার সাথে কথা বলে তখন খুব সাধারন প্রশ্নই করে থাকে এজন্য তেমন বেশি ভয় না পেয়ে তার সাথে স্বাভাবিক কমিউনিকেশন করতে হবে।
১০। টাকা উঠানোর জন্য নিজের নামে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলুন
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে আপনি নিজের পকেটে ঢুকাতে পারেন সে বিষয়ে কিছু জানব।
এখন ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উঠানো আগের তুলনায় অনেক বেশি সহজ। কারন এখন অনেক ব্যাংক সহজেই ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাইতো আপনিও পারেন নিজের নামে একটা একাউন্ট খুলে রাখতে।
এছাড়াও আপনি খুলতে পারেন একটি Free Payoneer Account। Payoneer বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি নাম ফ্রিল্যান্সারদের কাছে। কারন খুব সহজে এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা নিয়ে আসা ও লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার করা যায়।
সর্বশেষে, একটা কথায় সবসময় বলি যে, কোন কিছুর জানার বা শেখার শেষ নাই। তাই প্রতিনিয়ত নিজেকে গড়ে তুলতে নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানুন এবং আশা করি আপনিও একদিন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠবেন।