গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন | Graphic Designing Idea |

Graphic Designing – গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, এর জন্য কি কি কোর্স এবং সফটওয়্যার প্রয়োজন, কিভাবে ইনকাম করবেন সমস্ত তথ্য বিস্তারিত জানুন।

আজকের সময় ডিজিটাল হয়ে গেছে এবং এই ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল যুগে বেশিরভাগ ব্যবসা অনলাইনে শুরু হয়েছে। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই অনলাইন কাজে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে চায়। বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রচুর কাজ থাকলেও তার মধ্যে একটি হল গ্রাফিক ডিজাইনিং, যার কথা আপনি নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন।

আজকের মানুষের জন্য গ্রাফিক ডিজাইনিং ( graphic designing ) একটি খুব ভালো ক্যারিয়ার ক্ষেত্র। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার আগে গ্রাফিক ডিজাইনিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকা প্রয়োজন। যিনি সৃজনশীল তিনি গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ে তার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

যদিও অনেকেই জানে , তবুও তারা এটি সম্পর্কে সচেতন সঠিক ভাবে নয়, যার কারণে তারা এটির সুবিধা নিতে সক্ষম হয় না। সেইজন্যই আজ আমরা সেই সমস্ত স্টুডেন্ট বা ব্যাক্তিদের জন্য এই নিবন্ধটি নিয়ে এসেছি, যেখানে আমরা আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনিং কী?, কীভাবে গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়া যায় এবং একই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দিতে যাচ্ছি। তাই এই নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

📝👉 গ্রাফিক ডিজাইন কি?

গ্রাফিক ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) একটি শিল্প, যেখানে আপনি শব্দ, রঙ এবং সরঞ্জামের সাহায্যে যে কোনও কিছুকে আকর্ষণীয় রূপ দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি বাজারে বা বাড়ির বাইরে যান তাহলে আপনি চারপাশে অনেক ব্যানার, পোস্টার, প্যামফলেট দেখতে পান, যা বিভিন্ন কোম্পানির প্রচার করে এবং তাদের পণ্য সম্পর্কে জানায়।

সেই পোস্টার, প্যামফলেট ও ব্যানারের ডিজাইন দেখে কেউ আকৃষ্ট হতে পারে। ওই পোস্টার, প্যামফলেট ও ব্যানারে যে নকশা করা হয়েছে তা একজন গ্রাফিক ডিজাইনার তৈরি করেছেন। ব্যানার, পোস্টার প্যামফলেট ইত্যাদি ছাড়াও বড় বড় কোম্পানির লোগোও একজন গ্রাফিক ডিজাইনার তৈরি করেন, যার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ভালো চার্জ করে।

এইভাবে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার তার সৃজনশীলতা ব্যবহার করে যেকোনো সাধারণ জিনিসকে খুবই আকর্ষণীয় রূপ দিতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইনাররা ডিজাইনিং করেন যেমন বড় ব্যবসায়ীদের বা ডাক্তারদের বা উকিলদের বা কোনো অফিসের জন্য ভিজিটিং কার্ড, বিবাহের জন্য বিবাহের কার্ড এবং বিভিন্ন ধরণের আমন্ত্রণ কার্ড।

একজন ভালো গ্রাফিক ডিজাইনারের ডিজাইনিং সংক্রান্ত যাবতীয় জ্ঞান থাকে। একজন ভালো গ্রাফিক ডিজাইনারের গ্রাফিক ডিজাইনিং এর জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকতে হয়, যার ফলে সে যেকোনো সফটওয়্যারের টুল ব্যবহার করে আকর্ষণীয় গ্রাফিক ডিজাইনিং তৈরি করতে পারে।

📝👉 গ্রাফিক ডিজাইনিং সফটওয়্যার

গ্রাফিক ডিজাইনিং করতে হলে আপনাকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে, ক্রাফট ডিজাইনের জন্য অনেক সফটওয়্যার আছে, যার মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য রয়েছে। যার সাহায্যে যেকোনো ডিজাইন তৈরি করার পাশাপাশি থ্রিডি লুক দিতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনিং করার জন্য আপনার সে বিষয়ে জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরী, জ্ঞান ছাড়া আপনি কোন গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার চালাতে পারবেন না।

আপনি চাইলে এই সফটওয়্যার চালানোর জন্য কোর্স করতে পারেন। এর জন্য আপনি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় কোর্স করতে পারেন। ইন্টারনেটে অনেক ভিডিও পাওয়া যায়, যেখানে গ্রাফিক ডিজাইনিং সফটওয়্যার সম্পর্কিত কোর্স রয়েছে।

এখন আপনি কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন তা আপনার গ্রাফিক ডিজাইনিং এর উপর নির্ভর করে কারণ গ্রাফিক ডিজাইনিং এ অনেক ধরনের ডিজাইন আছে যার মধ্যে ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন, লোগো ডিজাইনিং, পোস্টার, ইমেজ ইত্যাদি রয়েছে । তবে আপনি একটি সফটওয়্যারে সব ধরনের গ্রাফিক ডিজাইনিং করতে পারবেন। নিচে কিছু গ্রাফিক ডিজাইনিং সফটওয়্যার দেওয়া হল।

👉 ফটোশপ (Photoshop)

ফটোশপ (Photoshop) গ্রাফিক ডিজাইনিং করার জন্য একটি খুব বিখ্যাত সফ্টওয়্যার, যা বেশিরভাগ গ্রাফিক ডিজাইনাররা ব্যাবহার করে থাকেন। এই সফ্টওয়্যারের সাহায্যে, আপনি বিভিন্ন আকর্ষণীয় এবং 3D লোগো, ব্যানার, পোস্টার, ভিজিটিং কার্ডের মতো সমস্ত ধরণের গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন।

এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য আপনার ভালো কনফিগারেশনের একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার লাগবে।

এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে এর বিভিন্ন ফিচার বা অপশন সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। এর জন্য আপনারা ইউটিউব ভিডিওর সাহায্য নিতে পারেন।

👉 অ্যাডোব ইলাস্ট্রেশন (Adobe Illustration)

লোগো ডিজাইনাররা প্রায়ই অ্যাডোব ইলাস্ট্রেশন (Adobe Illustration) সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে। সেই লোগোগুলি তৈরি করতে যা আপনি বড় কোম্পানিগুলিতে, মলের বাইরে দেখেন। এই সফ্টওয়্যারটির বেশিরভাগই লোগো তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়, যদিও এই সফ্টওয়্যারটিতে আপনি লোগো ছাড়াও 3D পোস্টার, 3D ব্যানার ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন।

এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য আপনার হাই কনফিগারেশন সহ একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার লাগবে।

এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করার আগে, আপনাকে এর সমস্ত ফিচার বা অপশন গুলো সম্পর্কে জানতে হবে, তবেই আপনি এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। এর জন্য আপনারা ইউটিউব ভিডিওর সাহায্য নিতে পারেন।

👉ক্যানভা (Canva)

এটিও গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যার, যার সাহায্যে আপনি ভিডিওর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার, লোগো, থাম্বনেইল তৈরি করতে পারেন। এই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য, আপনাকে এটিতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে, যার জন্য আপনার একটি ইমেল আইডি প্রয়োজন হবে।

যাইহোক, এই সফটওয়্যারটি চালানোর জন্য আপনার উচ্চ কনফিগারেশনের ল্যাপটপের প্রয়োজন নেই। এমতাবস্থায়, আপনার যদি একটি সাধারণ ল্যাপটপ থাকে, তবে আপনি এই সফ্টওয়্যারের সাহায্যে গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের কাজ শুরু করতে পারেন।

এছাড়া এর একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা আপনারা প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ইন্সটল করেও এক্সেস করতে পারবেন আপনার মোবাইল ফোনেতে।

👉ক্রেলো (Crello)

এটি Canva এর মতোই একটি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারে আগে থেকেই অনেক তৈরি করা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং থাকে, যা নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং দের বিশেষ সাহায্য করে থাকে।

এছাড়া এর একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা আপনারা প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ইন্সটল করেও এক্সেস করতে পারবেন আপনার মোবাইল ফোনেতে।

👉 পিক্সআর্ট (PicsArt)

PicsArt একটি বিভিন্ন ধরনের লোগো, পোস্টার, ফটো, ব্যানার ইত্যাদি তৈরি করার জন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার। যার অফিশিয়াল এপ্লিকেশন play store এবং অ্যাপ স্টোর দুই জায়গাতেই রয়েছে। আপনি এটি কে ইন্সটল করে মোবাইলের সাহায্য ফটো, লোগো ইত্যাদি এডিটিং বা তৈরি করতে পারবেন।

📝👉 গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে অর্থ উপার্জনের উপায়

আপনি গ্রাফিক ডিজাইনিং এর মাধ্যমে অফলাইন এবং অনলাইন উভয় পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

👉 অফলাইন অর্থ উপার্জন

আপনি যদি অফলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) করে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনি যে কোনও কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে কাজ করতে পারেন।

এর জন্য, যে কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনারের পদ খালি আছে সেখানে এপ্লাই করতে হবে এবং আপনাকে একটি ইন্টারভিউ দিতে হবে, তারপর আপনি সেই কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে যেকোনো কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে হলে অবশ্যই গ্রাফিক ডিজাইনিং সংক্রান্ত কোর্স থাকতে হবে।

এই ছাড়াও, আপনি গ্রাফিক ডিজাইনিং এর মাধ্যমে আপনার নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি চাইলে নিজের দোকান খুলতে পারেন। আপনার যদি গ্রাফিক ডিজাইনিং সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকে তবে আপনি প্যামফলেট, ব্যানার ডিজাইনিং, ভিজিটিং কার্ড, বিয়ের কার্ড ডিজাইন এবং প্রিন্ট করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

👉 অনলাইন অর্থ উপার্জন

আপনি যদি অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) এর কাজ করতে চান তাহলে অনলাইনেও শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে, বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনিং করতে পছন্দ করেন। কারণ এখানে আপনি ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং আপনার কারো অধীনে কাজ করার প্রয়োজন হয না।

ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন freelancer, Fiver, Upwork, PeoplePerHour গুলির মতো বিখ্যাত ওয়েবসাইটে গ্রাফিক ডিজাইনিং সম্পর্কিত কাজ পেতে পারেন। সেখানে আপনাকে ওগুলোতে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে, এবং আপনার প্রোফাইলটি আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।

যদি কোন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখে পছন্দ করে, তাহলে সে আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ অফার করবে। আপনি কাজটি সম্পূর্ণ করলে, ক্লায়েন্ট আপনাকে সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রদান করবে।

ওয়েবসাইট ছাড়াও, আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গ্রাফিক ডিজাইনিং সম্পর্কিত কাজ পেতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে গ্রাফিক ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) সম্পর্কিত অনেক গ্রুপ বা পেজ রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেন আপনার তৈরি করা কয়েকটি ডিজাইনিং লোগো বা ফটোকে পোস্ট করে পারেন।

এছাড়া বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করছে। তাই ওই সমস্ত ইউটিউবারদের ইউটিউব চ্যানেলের লোগো বা কভার ফটো তৈরি করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়া বর্তমানে আপনারা তো জানেনই যে অনেক অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেমন ফ্রী ফায়ার, পাবজি, কল অফ ডিউটি, এবং প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টের জন্য একটি করে লোগো লাগানোর অপশন থাকে। আর ওই সমস্ত প্লেয়াররা সব সময় চাইছে একটি ইন্টারেস্টিং এবং বেস্ট লোগো লাগিয়ে রাখতে তার গেমিং একাউন্টে। এই পরিস্থিতিতে আপনি ওই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য লোগো তৈরি করে দিয়ে খুব ভালো টাকা চার্জ করতে পারেন।

📝👉 গ্রাফিক ডিজাইনিং এর জন্য কোর্স

গ্রাফিক ডিজাইনিং এর জন্য অনেক কোর্স ( graphic designing course ) পাওয়া যায়, যেগুলো আপনি অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবেই করতে পারেন। এই কোর্সগুলির যে কোনও একটি করে, একজন দ্রুত গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের দক্ষ হয়ে যাবেন। নিচে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কোর্সগুলো ( graphic designing course ) দেওয়া হল।

👉 Fine arts এ স্নাতক

আপনি ১২ তম ক্লাসের পরে এই কোর্সটি করতে পারেন, এর মেয়াদ ৪ বছর।

👉 মাস্টার অফ ফাইন আর্টস

এই কোর্সটি স্নাতক বা গ্রেজুয়েশনের পর করা যায়। এর মেয়াদ ২ বছর।

👉 গ্রাফিক অ্যানিমেশনে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা

এই কোর্সের জন্য স্নাতক ( graduate ) পাস করতে হবে, তার পরে আপনি graphic design courses করতে পারবেন। এর মেয়াদ ১ বছর।

👉 বিএসসি মাল্টিমিডিয়া

আপনি ১২ তম ক্লাসের পরে graphic designer course করতে পারেন, এর মেয়াদ ৩ বছর।

👉ডিপ্লোমা ইন গ্রাফিক্স

এই কোর্সটি ১২ তম এর পরে করা যেতে পারে, এই graphic designer course এর মেয়াদ মাত্র ৬-১২ মাস।

👉 3D অ্যানিমেশন কোর্স

এটি একটি ডিপ্লোমা কোর্স । যার মেয়াদ ৬-১২ মাস।

উপরিউক্ত কোর্স গুলির জন্য তাদের ডিউরেশন এবং কোর্সের পরিপ্রেক্ষিতে কোর্স গুলির ফিসও বিভিন্ন হয়ে থাকে

📝👉 গ্রাফিক ডিজাইনিং এর জন্য যে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

  • গ্রাফিক ডিজাইনে ( Graphic Designing ) অনেক ধরনের ডিজাইনিং কাজ আছে। সেজন্য আপনি যখন গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ খুঁজবেন, তখন আপনি যে কাজটি করতে পারবেন তা গ্রহণ করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি শুধুমাত্র লোগো ডিজাইন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ হন, তবে আপনার শুধুমাত্র লোগোর কাজ খোঁজা উচিত এবং এই ধরনের কাজ গ্রহণ করা উচিত, অন্য ধরনের গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ গ্রহণ করা উচিত নয়।
  • আপনি যদি অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার ক্লায়েন্টের দেওয়া প্রজেক্ট সময়মতো করে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
  • গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ ডিজাইনাররা একটি ডিজাইনের জন্য অনেক বেশি চার্জ করেন। কিন্তু আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনিং এর জন্য চার্জ কম রাখেন তাহলে বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের প্রস্তাব দেবে।
  • গ্রাফিক ডিজাইনিং ফিল্ডে একজন ভালো ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনার যেকোনো একটি সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। তাই গ্রাফিক ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) এর কাজ করার আগে যেকোন একটি সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান নিয়ে তবেই যে কোন কাজ গ্রহণ করতে হবে।
  • একজন ভালো গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কালার কম্বিনেশন বুঝতে হবে। এছাড়াও আপনার সৃজনশীলতা থাকতে হবে। কারণ আপনার মধ্যে সৃজনশীলতা না থাকলে শুধুমাত্র গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কোর্স এবং জ্ঞান নিয়ে আপনি এই ক্ষেত্রে খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারবেন না। কারণ একজন ভালো সৃজনশীল ডিজাইনার আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে পারেন যা তাকে আরও কাজকে আরো আকর্ষনীয় করে তোলে।

📝👉কাজের জন্য জায়গা

  • আপনি যদি কোনো কোম্পানির জন্য কাজ করেন । তাহলে আপনাকে হয় ওই কোম্পানির অফিসে গিয়ে বা সেরকম হয়ে থাকলে আপনাকে নিজের বাড়িতেও কাজ করতে হতে পারে।
  • দ্বিতীয়তঃ তুমি যদি কোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটেতে কাজ করে দেন তাহলে আপনি তা বাড়িতে বসেও করতে পারেন।
  • তৃতীয়ত আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে হয়তো আপনাকে একটি দোকান খুলতে হবে এবং আপনার কাজের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থাৎ বেশি যদি কাজ পাওয়া যায় তাহলে দুই একজন কর্মচারী রাখতে হবে।

📝👉 FAQ Graphic Designing

Q) গ্রাফিক ডিজাইন কি?

গ্রাফিক ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) একটি শিল্প, যেখানে আপনি শব্দ, রঙ এবং সরঞ্জামের সাহায্যে যে কোনও কিছুকে আকর্ষণীয় রূপ দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি বাজারে বা বাড়ির বাইরে যান তাহলে আপনি চারপাশে অনেক ব্যানার, পোস্টার, প্যামফলেট দেখতে পান, যা বিভিন্ন কোম্পানির প্রচার করে এবং তাদের পণ্য সম্পর্কে জানায়।

Q)গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য কোন সফটওয়্যারটি সবচেয়ে ভালো?

গ্রাফিক ডিজাইনিং এর জন্য অনেক বিখ্যাত সফটওয়্যার আছে যেমন ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেশন, ক্যানভাস ইত্যাদি । এই সব সফটওয়্যারই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

Q) গ্রাফিক ডিজাইনিং এর সাথে কি কি কাজ জড়িত?

গ্রাফিক ডিজাইনিং ( Graphic Designing ) এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইনিং যার মধ্যে লোগো ডিজাইনিং, ব্যানার, পোস্টার, প্যামফলেট, ভিজিটিং কার্ড, বিয়ের কার্ড, বিভিন্ন ধরণের আমন্ত্রণ কার্ড, ফটো এডিটিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Q) গ্রাফিক ডিজাইনিং এর জন্য সেরা কোর্স কোনটি?

গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের জন্য অনেক কোর্স রয়েছে যেমন ব্যাচেলর অফ ফাইন আর্টস, পিজি ডিপ্লোমা ইন গ্রাফিক অ্যানিমেশন, বিএসসি মাল্টিমিডিয়া, ডিপ্লোমা ইন গ্রাফিক, সার্টিফিকেট ইন 3D অ্যানিমেশন।

Q) কিভাবে অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ খুঁজে পাবেন?

অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ খুঁজে পাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনিং কাজ খুঁজে পেতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন। এটি ছাড়াও আপনি Facebook, Telegram এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ খুঁজে পেতে পারেন।

Q) গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন ( Graphic Designing ) এর মাধ্যমে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনিও এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কাছের মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। তবে ইনকাম টা আপনার নির্ভর করবে আপনি ওই মাসে কতগুলো এবং কত বেশি টাকার কাজ কমপ্লিট করেছেন।

আমরা শুধুমাত্র ইনকাম বিষয় নয় বরং জবস বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি আপনার যদি দৈনন্দিন জীবনে চাকরির খবর প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে আমাদের চাকরির খবর ক্যাটাগরিতে ভিজিট করে চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেতে পারেন।

Leave a Comment